"চা-বাগান শ্রমিক ভবিষ্য তহবিল" কার্যালয়টি মৌলভীবাজার জেলার অন্তর্গত শ্রীমঙ্গল উপজেলায় অবস্থিত। ১৯৫৯ সালের "দি ইস্ট পাকিস্তান (প্লান্টেশন এমপ্লয়িজ) প্রভিডেন্ট ফান্ড অর্ডিন্যান্স" ও ১৯৬০ সালের "দি ইস্ট পাকিস্তান (প্লান্টেশন এমপ্লয়িজ) প্রভিডেন্ট ফান্ড বিধিমালা" অনুযায়ী ১৯৬১ সাল থেকে এ সংস্থার কার্যক্রম শুরু হয়।এ অফিসটি শুরুতে ঢাকায় অবস্থিত ছিল। শ্রমিক-কর্মচারীদের সুবিধার্থে ১৯৭৭ খ্রিস্টাব্দে ঢাকা থেকে এই অফিসটি শ্রীমঙ্গলে স্থানান্তরিত হয়। পরবর্তীতে ২০০৬ খ্রিস্টাব্দ সনে ১৯৫৯ সালের অধ্যাদেশটি রহিত হলে বাংলাদেশ শ্রম আইন ২০০৬ এর ২৬৫ ধারা অনুযায়ী এর নাম "চা-বাগান শ্রমিক ভবিষ্য তহবিল" করা হয়। এছাড়া উক্ত আইনের ২৬৬ ধারা অনুযায়ী সরকার কর্তৃক নিযুক্ত "চা-বাগান শ্রমিক ভবিষ্য তহবিল ট্রাস্টি বোর্ড" দ্বারা এ প্রতিষ্ঠানটি পরিচালিত হয় এবং উক্ত ট্রাস্টি বোর্ড প্রতি তিন বৎসর অন্তর অন্তর সরকার কর্তৃক পুনর্গঠিত হয়। শ্রম অধিদপ্তরের মহাপরিচালক পদাধিকারবলে উক্ত ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যান। সরকার কর্তৃক নিযুক্ত চা শিল্পের মালিক পক্ষের ৩ (তিন) জন, শ্রমিক পক্ষের ৩ (তিন) জন এবং ২ (দুই) জন নিরপেক্ষ প্রতিনিধি উক্ত বোর্ডের সদস্য হিসেবে অন্তর্ভুক্ত রয়েছেন।
বাংলাদেশ শ্রম আইন, ২০০৬ এর ২৬৮(১) ধারা অনুযায়ী চা বাগানে কর্মরত কোন শ্রমিক-কর্মচারী (শিক্ষাধীন শ্রমিক ব্যতীত) যদি এক বৎসরের অধিক কাল কর্মরত থাকেন তাহলে ঐ শ্রমিক-কর্মচারী প্রভিডেন্ট ফান্ডের সদস্য হওয়ার যোগ্যতা অর্জন করেন। একজন শ্রমিক-কর্মচারী সদস্যভূক্তির পর তাঁর মূল বেতনের ৭.৫০% প্রভিডেন্ট ফান্ড চাঁদা হিসেবে চা বাগান কর্তৃপক্ষ কর্তন করে এবং মালিকপক্ষের সমপরিমাণ ৭.৫০% কন্ট্রিবিউশনসহ মোট ১৫% অর্থ এ প্রতিষ্ঠানে জমা প্রদান করেন। পাশাপাশি মালিকপক্ষ উক্ত ১৫% অর্থের উপর আরো ৫% অর্থ প্রশাসনিক চার্জ হিসেবে পৃথকভাবে প্রদান করে থাকেন। এ কার্যালয়ের আওতাধীন সমগ্র বাংলাদেশের ১৬১ টি চা বাগানে নিয়মিত ৯০,৬২৫ জন এবং অনিয়মিত ৩১,১৫৬ জন, সর্বমোট (৯০,৬২৫+৩১১৫৬)= ১,২১,৭৮১ জন পিএফ সদস্যের প্রদত্ত টাকা এ কার্যালয় কর্তৃক সংরক্ষণ করা হয়।